Pericles, The Prince of Tyre Bangla Onubad

নাটকের নাম: পেরিক্লিস দ্য প্রিন্স অব্ টায়ার

পাহাড়ে ঘেরা সবুজ বনানীতে আচ্ছাদিত ছোট্ট রাজ্য এন্টিওক। সে দেশের রাজা তাঁর কন্যার জন্য স্বয়ংবর সভা আহ্বান করেছেন। রাজকন্যা বিবাহের জন্য একটি শর্ত রেখেছে। তার একটি ধাঁধার উত্তর যে রাজপুত্র দিতে পারবে, তাকেই সে বরমাল্য অর্পণ করবে। না পারলে তাকে যেতে হবে ঘাতকের কবলে। টায়ার রাজ্যের যুবরাজ পেরিক্লিক্সও এসেছেন রাজকন্যার অসামান্য রূপ লাবণ্যেণ কথা শুনে। তিনিও রাজকন্যার প্রাণিপ্রার্থী। রাজকন্যার ধাঁধার উত্তরটি বুঝতে খুব একটা সময় লাগলো না ধীমান Pericles এর।

কিন্তু এই উত্তরের মধ্যে নিহতি আছে এন্টিওক রাজপরিবারের এক দুরপনেয় কলঙ্কের কাহিনী। এটা বুঝতে পেরেইে জবাব দিতে ইতস্ততঃ করছিলেন তিনি। তার মুখ দেখে ব্যাপারটা অনুমান করলেন চতুর রাজা Antiochus। বুঝলেন এই যুবকটির মুখ বন্ধ করতেই হবে। কৌশলে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করলেন তিনি।

Pericles ও বুঝতে পারলে গতিক সুবিধের নয়। রাতের অন্ধকারে সে মানে মানে পালিয়ে বাঁচলো। কিন্তু দেশে ফিরে তার মনে হোল, এণ্টিওকের রাজা হয়তো তাকে হাতের মুঠোয় পাবার জন্য যুদ্ধই লাগিয়ে দেবেন। অনর্থক ক্ষতিগ্রস্ত হবে টায়ারের প্রজারা। তাই, একজন অভিজ্ঞ মন্ত্রী Helicanus এর হাতে রাজ্যের কার্যভার অর্পণ করে তিনি বেরিয়ে পড়লেন নিরুদ্দেশ যাত্রায়। এইভাবে দেশে দেশান্তরে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ এক সময় সামুদ্রিক ঝড়ে জাহাজডুবি হোল তার।

Pericles, The Prince of Tyre Bangla Onubad
প্রাণ নিয়ে কোনরকমে বাঁচলেও, মৃত পিতার দেওয়া একমাত্র তরোয়ালটি ছাড়া আর কোনও সম্পদই উদ্ধার করতে পারলেন না তিনি। জাহাজডুবি হয়েছিল পেন্টাপলিস রাজ্যের সীমানায়। সেখানকার জেলেদের বস্তীতেই আশ্রয় পেয়েছিলেন Pericles। একদিন পেণ্টাপলিস - এর রাজকন্যা থাইসার জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত উৎসবে নিজের অস্ত্রনৈপুণ্য ও চারুকলা দেখিয়ে পেরিক্লিস মুগ্ধ করে ফেললেন রাজা ও রাজকন্যাকে। রাজকন্যা প্রতিজ্ঞা করলেন, Pericles ছাড়া আর কাউকেই তিনি বিবাহ করবেন না। পেরিক্লিসকে ডেকে পাঠিয়ে রাজা তার জীবনকাহিনী শুনলেন। টায়ারের রাজপরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকারী Pericles, একথা জেনে তাকে জামাতারূপে বরণ করে নিতে দ্বিধা করলেন না।
মহা ধূমধাম সহকারে Pericles ও থাইসারের বিবাহ সংঘটিত হোলো। এ দুটি যুবক - যুবতী যেন পরস্পরের জন্যই জন্ম নিয়েছিলেন। মধুর সুখে ও আনন্দে দিন কেটে যেতে লাগলো তাদের। কিন্তু কিছুদিন পরে দেশের মাটির জন্য মন অস্থির হয়ে উঠলো Pericles। লোকমুখে তিনি শুনেছেন সেই পাপচারী রাজা এন্টিওকাস ও তার মেয়ের কিছুদিন আগেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে। কাজেই দেশে ফেরার আর কোনও বাধা নেই। এক শুভদিনে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী থাইসাকে নিয়ে এক বিশাল নৌবহরে যাত্রা করলেন Pericles।

Pericles, The Prince of Tyre Bangla Summary


পথের মাঝেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন থাইসা। সমুদ্রের ওপর জন্মেছে বলে পেরিক্লিস তার নাম দিলেন মেরিনা। এর কয়েকদিন পরেই প্রচণ্ড বজ্রপাত সহ বৃষ্টি ও ঝড়ে দুর্গম হয়ে পড়লো তাদের যাত্রাপথ। এই ধকল সহ্য করতে না পেরে মারা গেলেন। অসুস্থা থাইসা। নাবিকদের অনুরোধ রাজা তার মৃতদেহটি সমুদ্রের জলেই ভাসিয়ে দিলেন। শোকে মূহ্যমান রাজা পেরিক্লিস এখন দুগ্ধপোষ্য শিশুটিকে নিয়ে কি করেন? 

টায়ার রাজ্যে পৌঁছতে এখনও অনেক দেরী। ততদিন একে বাঁচাবেন কি করে। ঝড়ের গতিবেগ জাহাজকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। ঝড় থামলে পেরিক্লিস খোঁজ নিয়ে জানলেন তাঁরা থাসর্সি নগরের সীমানায় পৌঁছে গেছেন। পেরিক্লিসের মনে পড়লো দেশে বিদেশের ঘুরে বেড়াবার সময় একবার তিনি এই নগরীতে এসেছিলেন। থার্সাস নগরীতে তখন প্রচণ্ড খাদ্যাভাব। অনাহারে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে আবাল বৃদ্ধ বণিতা। 

জাহাজ বোঝাই করে খাদ্যদ্রব্য এনে এই নগরীর খাদ্যভাব মিটিয়ে ছিলেন Pericles। আর, সেই দেশের শাসনকর্তা ক্লিয়োনকে বেঁধে ছিলেন বন্ধুত্বের বন্ধনে। আজ থার্সাস - এর নাম শুনেই ক্লিয়োনের কথা মনে পড়লো: ক্লিসের। স্থির করলেন তার কাছেই রেখে যাবেন কন্যাকে। ক্লিয়োন ও তার স্ত্রী Dionyza কন্যাটিকে সাদরে বুকে তুলে নিলেন।

Dionyza জানালেন নিজের কন্যাটির সঙ্গে সমান যত্ন ও আদর দিয়ে মানুষ করবেন মেরিনাকে। এদিকে থাইসার অচেতন দেহ ভেসে চললো সমুদ্রের জলে। নাবিকরা অনভিজ্ঞতার কারণে তাকে মৃত ভেবেছিল, আসলে তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধকলে মূৰ্চ্ছা হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ জলের সংস্পর্শে থাকার ফলে আবার জ্ঞান ফিরে এলো তার। সমুদ্রের তীরের জেলেরা তাঁকে দেখতে পেয়ে জল থেকে তুলে আনলো।

প্রচুর সেবা শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুললো তাকে। তারপর একদিন এক বৃদ্ধ জেলে থাইসার কোটের পকেটে পাওয়া একটি কৌটো এনে তাঁকে দেখালো। থাইসা সেটি খুলে দেখলেন তাতে একটি চিরকুট ও একটি বহুমূল্য আংটি রয়েছে। চিরকুটে লেখা আছে, রাজা পেরিক্লিসের রাণী থাইসার মৃতদেহ এটি। যদি কেউ এই মৃতদেহটি দেখতে পায়, তবে এই হীরের আংটিটি বিক্রয় করে সেই অর্থ দিয়ে যেন রাণীর সৎকার করে। 

আস্তে আস্তে সব কথা মনে পড়ে গেল থাইসার। তিনি বললেন, এই আংটিটি বিয়ের রাতে আমার স্বামী আমাকে দিয়েছিলেন। আমরা সমুদ্রযাত্রা করেছিলাম মনে আছে। তারপর প্রচণ্ড ঝড় উঠেছিল। আমার স্বামী ও কন্যাটি বেঁচে গিয়েছিলেন কিনা জানিনা। আমার আর কিছুই মনে নেই। আর কখনো হয়তো আমার স্বামী - সন্তানের সঙ্গে মিলিত হতে পারবো না। তারপর থাইসা জেলেদের ডেকে বললেন, তোমরা আমার প্রাণদাতা। আমি এখন কি করবো, তোমরাই বলে দাও! জেলেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করলো এই সম্ভান্ত বংশীয়া রমণীকে জেলে বস্তিতে রাখা ঠিক নয়। কাছেই দেবী ডায়ানার মন্দির আছে। সেখানে সাধন ভজনের মাধ্যমে জীবনের বাকি দিনগুলো কাটাতে পারেন তিনি। Thaisa সজল চোখে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেনে নিলেন তার পূর্ণজন্মদাতাদের উপদেশ।

এদিকে থার্সাস নগরে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে মেরিনা। নৃত্য, গীত, অধ্যয়ন, তাঁত বোনা ইত্যাদি বিষয়ে অল্পদিনেই অসাধারণ হয়ে উঠলো সে। তার সমবয়সী ক্লোটনের কন্যা এতে তার ওপর খুবই ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়লো। লোকের মুখে মুখে ফেরে মেরিনার গুণের কথা, তার কথা কেউ উল্লেখও করে না। মেয়ের দুঃখ মা ডায়েজিনার বুকে বাজলো। তিনিও বিদ্বিষ্ট হয়ে উঠলেন মেরিনার ওপর। তারপর একদিন কয়েকজন দস্যুর হাতে তুলে দিলেন মেরিনাকে। কথা হোল, নির্জন সমুদ্রতীরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবে মেরিনাকে। কিন্তু দস্যুরা রাণীর আদেশ পালন করার আগেই একদল জলদস্যু লুণ্ঠন করে নিয়ে গেল তাকে। জলদস্যুদের হাতে গিয়ে প্রাণে বাঁচলো মেরিনা, কিন্তু আরও চরম দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করছিল Marina জন্য। 

সুন্দরী Marina কে মোটা টাকার বিনিময়ে এক পতিতালয়ে বিক্রী করে দিল জলদস্যুরা। তাকে নিয়ে পতিতালয়ের মালিক পড়লো বিপদে। প্রাণের বিনিময়েও সতীত্ব বিসর্জন দিতে চায় না Marina। কোনও পাপ কাজ তাকে দিয়ে হবে না। উল্টে সেখানকার খদ্দেরদের সে ধর্মপথে পরিচালনার করার চেষ্টা করতে লাগলো। ব্যবসা লাটে ওঠার পক্রম। অবশেষে একজন দয়ালু রাজকর্মচারীর কৃপায় পতিতালয়ের প্রহরীকে টাকা দিয়ে বশ করে সেখান থেকে বেরিয়ে শহরে ভদ্রপাড়ায় ঘর নিয়ে মেয়েদের শিল্পকর্ম, গান ইত্যাদি শিখিয়ে সম্মানজনক জীবনযাত্রা অতিবাহিত করতে লাগলো Marina। এদিকে টায়ারে ফিরে দীর্ঘদিন পর রাজ্যশাসনের ভার হাতে তুলে নিয়েছেন পেরিক্লিস। কাজের মধ্যে ডুবে থেকে দীর্ঘদিন কেটে যাবার পর তাঁর মনে হোল, এখন তো তাঁর কন্যাটি বড় হয়ে গেছে। তাকে দেখার, কাছে নিয়ে আসার জন্য আকুল হয়ে উঠলো রাজার পিতৃহৃদয়।

কিন্তু থার্সাসে গিয়ে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা শুনলেন তিনি। অকস্মাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছে তার মেয়েটি। রাজা তার জন্য একটি সুন্দর স্মৃতিস্তম্ভও নির্মাণ করেছেন। সেই স্মৃতিফলকে শ্বেতপুষ্প সাজিয়ে দিয়ে ভগ্ন হৃদয়ে জাহাজে ফিরে গেলেন পেরিক্লিস। দীর্ঘ যাত্রাপথে রাজাকে স্থির স্তব্ধবাক হয়ে থাকতে দেখে তার শরীর মনের সুস্থতা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন তার সহযাত্রীরা। যাত্রাপথে তিনমাস কাটার পর জাহাজ মেরামতির জন্য রাজা পেরিক্লিসকে মিটিলেন বন্দরে থামতে হলো। মিটিলেন - এর শাসক লাইসিমেকাস পেরিক্লিস - এর আগমন সংবাদ পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। রাজার সহচরদের কাছে তিনি জানতে পারলেন, পেরিক্লিস এই তিনমাস প্রায় উপবাস করে আছেন, মৌনব্রত নিয়েছেন।

স্ত্রী কন্যা হারানোর দুঃখ তাঁকে পাষাণে পরিণত করে দিয়েছে। Lysimachus জানালেন তাঁর চেনা এক তরুণী এই শহরেই বাস করে। মেয়েটি নৃত্যগীত ও কাব্যকলায় অত্যন্ত নিপুণা। তার বলার মধ্যে এমন characteristics আছে, তা সহজেই মানুষের মনকে প্রভাবিত করবেই। দেখা যাক না সে যদি তার রাজাকে কথা বলাতে পারে, না হলে এভাবে মাটির প্রতিমা হয়ে কতদিন বাঁচাবেন তিনি? সকলের সম্মতিতে মেয়েটিকে আহ্বান করে আনা হল।

সে আর কেউ নয়, পেরিক্লিসেরই কন্যা মেরিনা। মেরিনা ও তার একজন সহচরী রাজার কামরায় এলে, তার অনুরোধে বাকি সবাই ঘর ছেড়ে চলে গেলেন। Marina রাজার সামনে বসে তার মিষ্টি মধুর স্বরে বললেন — মহারাজ, আপনার দুঃখ আমি অন্তত দিয়ে অনুভব করতে পারছি। কেননা আমিও আপনার মত আমার দুঃখ যন্ত্রণা বুকে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছি।

জাহাজ দুর্ঘটনায় আমার মা বাবা দানকেই হারিয়েছি। আমার কানে কানে যেন বিধাতা বলে দিচ্ছেন, আপনাকে কথা না বলিয়ে যেন আমি এখান থেকে না যাই। পেরিক্লিস অস্ফুষ্ট স্বরে বললেন — আমার মতই দুর্ভাগা তুমি? তোমার মুখে যেন আমার স্ত্রীর মুখের ছায়া দেখতে পাচ্ছি। সে - ও অনেকটা তোমার মতই দেখতে ছিল। কোথায় থাকো তুমি মা ? কি নাম তোমার? আমার জীবনের পূর্বের কাহিনী শুনলে আপনার হয়তো story বলেই মনে হবে।

আমার পরিচয় সবই বলবো আপনাকে। আমার নাম Marina। রাজা নামটি শুনেই সোজা হয়ে বসলেন। —Marina? —হ্যা! সমুদ্রে জন্ম হয়েছিল আমার, শুনেছি আমার পিতা এজন্য তাই এ নাম দিয়েছিলেন। দুধমাতার - কাছে শুনেছি , আমার জন্ম দিয়েই আমার মা মারা যান। রাজা পেরিক্লিসের শরীরের সবকটি স্নায়ু সচকিত হয়ে উঠলো, একি স্বপ্ন! না সত্য?

তার মেয়ে Marina তো কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত। তবে এ মেয়েটি কে? Marina বলে চললো। —মার মৃত্যুর পর বাবা আমাকে থার্সাসে রেখে এসেছিলেন। তারপর রাজা ক্লিয়োনের পিশাচী স্ত্রী আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। সে আমাকে গুপ্তঘাতকদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তারা আমাকে হত্যা করার আগেই জলদস্যুরা আমাকে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। তারপর এই শহরের পতিতালয়ে আমাকে বিক্রী করে দেয়।

Marina কথা শুনে রাজার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে দেখে বিস্মিত হয় মেরিনা। সে কাতর স্বরে বলে — মহারাজ, আমি কি আপনাকে ব্যথা দিয়ে ফেলেছি? আমি রাজা পেরিক্লিসের মেয়ে, অকারণে কাউকে ব্যথা দেবার প্রবৃত্তি আমার রক্তে নেই । জানিনা, আমার পিতা আজ কোথায় , তিনি জীবিত আছেন কিনা? রাজা পেরিক্লিস উচ্ছ্বসিত আবেগে বলে উঠলেন—আমিই রাজা পেরিক্লিস, তুমি আমারই কন্যা মা। আমার একমাত্র সম্বল তুমি। সমুদ্রগামী জাঁহাজে তোমার জন্ম হয়েছিল । আমিই তোমার নাম রেখেছিলাম মেরিনা।

শয়তান থার্সাস রাজ আমাকে মিথ্যে কথা বলেছিল। বলেছিল তোমার মৃত্যু হয়েছে। আজ তোমাকে ফিরে পেলাম আবার সমুদ্রের বুকেই। আমাদের দুজনেরই পুনঃজন্ম হোলো আজ। সমস্ত সহচর সভাসদদের ডেকে এই আনন্দ সংবাদ শোনালেন রাজা। খুশীর জোয়ার বয়ে গেল চারিদিকে। এরপর কন্যাকে নিয়ে দেবী ডায়ানার মন্দিরে প্রণিপাত করতে গেলেন পেরিক্লিস।

আর সেখানে পূজারিণীদের একজনের মুখ দেখে চমকে উঠলেন। এ যে তাঁরই প্রিয়তমা রাণীর মুখ। থাইসাও চিনেছিলেন রাজাকে। বিশেষতঃ রাজার অনামিকায় রাণীর বাবার দেওয়া আংটিটি যে তার বহুকালের চেনা। সংবাদ পেয়ে জেলেরা সেই কৌটোটি নিয়ে এলো, যাতে আছে রাজার নিজের হাতে লেখা চিঠি, আর বিয়ের রাতে প্রিয়তমাকে দেওয়া তাঁর আংটিটি। নিয়তি এই তিনজনকে নিয়ে এতকাল যে নিষ্ঠুর খেলা খেলছিল, আজ এই শুভদিনে শুভ মুহূর্তে তার অবসান হলো। রাজা পেরিক্লিস পেলেন তাঁর হারানো সম্পদ, প্রাণ ধারণের কামনা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url