জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ

আজকের পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক উদ্বেগের একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডল ও আবহাওয়ার ধরনে পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

অন্যভাবে বললে, জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং এর ফলে আবহাওয়ার ধরনে পরিবর্তনসমূহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার অনেক কারণ আছে।

প্রধান কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি। আর কার্বন - ডাই - অক্সাইড জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের কারণে বৃদ্ধি পায়। যখন মোটরগাড়ি, গাড়ি , শিল্পকারখানা ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায় তখন কার্বন - ডাই - অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়।

এই নির্গমনের পরিমাণ সবসময় বাড়ছে যানবাহনের এবং শিল্পকারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নির্বনীকরণের কারণেও।

আমরা জানি যে, গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন - ডাই - অক্সাইড গ্রহণ করে ও অক্সিজেন ত্যাগ করে, তাই নির্বনীকরণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।

মেরু অঞ্চলে বরফ গলে যাওয়ার কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা। এ প্রক্রিয়া সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। ফলে পৃথিবীর নিচু দেশগুলো পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের জন্য ভীতিকর সংবাদ এই যে, সাগরের পানি বৃদ্ধির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নিচু জায়গাগুলো একদিন পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদগণ ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, আগামী শতাব্দীর মাঝামাঝিতে তাপমাত্রা 4°C বেড়ে যেতে পারে। এটি চরমভাবে মানুষের খাদ্যোৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে ফেলতে পারে, বন্যপ্রাণী ও জনহীন প্রান্তরসমূহকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। 

তাই পৃথিবীর মানুষের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url