রিসাইকেলের গুরুত্ব
আয়রন রিসাইকেলের গুরুত্ব
আয়রন হলো কাঠামো তৈরির ধাতু। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, অট্টালিকা, যানবাহন, কারখানার যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাঠামো তৈরিতে আয়রন ব্যবহৃত হয়। এ সব জায়গায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ব্যবহার অযোগ্য আয়রন বা (scrap) জমা হয়।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ মিলিয়ন টন ব্যবহার অযোগ্য scrap আয়রন রিসাইকেল করা হয় এবং প্রতি বছর গড়ে এর পরিমাণ প্রায় ১০% হারে বেড়ে চলেছে। এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, রিসাইকেল না হলে scrap আয়রন আমেরিকায় পরিবেশের কী পরিমাণ স্থান অকেজো করে রাখতো। এ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া কঠিন। এখানে পুরানো যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও গৃহস্থালী বর্জ্য লোহার scrap আয়রনের পরিমাণ খুব বেশি নয়। তবে বেসরকারি উদ্যোগে বিদেশ হতে
আমদানিকৃত পুরাতন বাংলাদেশে সামগ্রী হতে প্রাপ্ত জাহাজের স্ক্রেপ আয়রনভিত্তিক অনেক স্টিল রি - রোলিং মিল (steel re - rolling mill) গড়ে ওঠেছে। এক্ষেত্রে পুরাতন জাহাজ ভাঙা কাজে এবং এসব রিরোলিং মিলে অনেক শ্রমিক ও শিক্ষিত যুবকেরা কাজ করে।
এছাড়া আপনারা নিশ্চয় জানেন যে পৃথিবীতে কপার আকরিকের মজুদ সীমিত এবং তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করা হলে শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। এজন্য কপার রিসাইকেলের গুরুত্ব রয়েছে।
আমদানিকৃত পুরাতন বাংলাদেশে সামগ্রী হতে প্রাপ্ত জাহাজের স্ক্রেপ আয়রনভিত্তিক অনেক স্টিল রি - রোলিং মিল (steel re - rolling mill) গড়ে ওঠেছে। এক্ষেত্রে পুরাতন জাহাজ ভাঙা কাজে এবং এসব রিরোলিং মিলে অনেক শ্রমিক ও শিক্ষিত যুবকেরা কাজ করে।
তাই আর্থ - সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় আয়রন রিসাইকেলের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। বেসরকারি হাউস - বিল্ডিং সংস্থার সদস্যরা দেশব্যাপী শহর ও শহরের উপকণ্ঠে সুউচ্চ বিল্ডিং তৈরি করে আধুনিক শহর গড়ে তুলছে। এতে প্রয়োজনীয় ইস্পাত ও লোহার রড যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশের স্টিল - রিরোলিং মিলসমূহ।
সরকারিভাবে দেশের যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে ' রোড এন্ড হাইওয়ে সংস্থার অধীনে হাজারো ব্রিজ, রাজধানী ও জনবহুল শহরে যানজট নিরসনে তৈরি হচ্ছে ফ্লাই রোড, সময়ের দাবিতে যোগ হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার দুপাড় সংযোগকারী মহাসেতুসমূহ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উচ্চমানের ইস্পাত ও লোহার রড, আসছে স্টিল - রিরোলিং মিল থেকে। এ সব ক্ষেত্রে সমাজের হাজার হাজার শ্রমিক, শিক্ষিত যুবক ও ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত আছেন।
পরিবেশের ক্ষেত্রেও আয়রন রিসাইকেলের গুরুত্ব অপরিসীম। রিসাইকেল না হলে, এসব আয়রন scrap বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো অবস্থায় পরিবেশে জঞ্জাল সৃষ্টি করতো এবং বিভিন্ন অঞ্চলের প্রয়োজনীয় সব আয়রন উৎপাদন করতে হতো আয়রন আকরিক (Fe3O4) থেকে। এর ফলে ব্লান্ট ফার্নেসে ব্যবহৃত কয়লার দহনে সৃষ্ট ফু - গ্যাসের যেমন CO2, CO, SO2 নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহ দ্বারা বৈশ্বিক পরিবেশের অধিকতর দূষণ ঘটতো। আয়রন রিসাইকেল পরিবেশ দূষণ রোধে এবং পৃথিবীর সীমিত আয়রন আকরিক সাশ্রয়ে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে।
সরকারিভাবে দেশের যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে ' রোড এন্ড হাইওয়ে সংস্থার অধীনে হাজারো ব্রিজ, রাজধানী ও জনবহুল শহরে যানজট নিরসনে তৈরি হচ্ছে ফ্লাই রোড, সময়ের দাবিতে যোগ হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার দুপাড় সংযোগকারী মহাসেতুসমূহ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উচ্চমানের ইস্পাত ও লোহার রড, আসছে স্টিল - রিরোলিং মিল থেকে। এ সব ক্ষেত্রে সমাজের হাজার হাজার শ্রমিক, শিক্ষিত যুবক ও ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত আছেন।
অ্যালুমিনিয়াম রিসাইকেলের গুরুত্ব
অ্যালুমিনিয়ামও আয়রনের মতো রিসাইকেলযোগ্য ধাতু । তবে আয়রনের মতো কাঠামো ধাতুরূপে অতি প্রয়োজনীয় ধাতু না হলেও অ্যালুমিনিয়াম হালকা ও ধাতুক্ষয় (corrosion) রোধী হওয়ায় এটি যানবাহন ও বিল্ডিংয়ের জানালার কাঠামো, বাসনপত্র তৈরিতে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই ফ্লেপ অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণও খুব বেশি। অ্যালুমিনিয়াম রিসাইকেলের ফলে অ্যালুমিনিয়াম ফ্লেপ দ্বারা পরিবেশে জঞ্জাল সৃষ্টি হচ্ছে না। এছাড়া বক্সাইট আকরিক (Al2O3, 2H2O) থেকে বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে AI- ধাতু উৎপাদনে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু রিসাইকেলের দ্বারা scap থেকে Al ধাতু উৎপাদনে যে বিদ্যুৎ শক্তি খরচ হয়; তা বক্সাইট আকরিক থেকে সমপরিমাণ AI ধাতু উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের মাত্র 5 %। এ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঐ সাশ্রয়ী পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশের যে পরিমাণ দূষণ ঘটতো, তা কম ঘটছে। এছাড়া পৃথিবীর সীমিত বক্সাইট আকরিকের ব্যবহার কম হওয়ায় ঐ আকরিক খনিতে জমা বা রিজার্ভ করা আছে। বাংলাদেশে AI- ধাতু উৎপাদনের কোনো কারখানা নেই। প্রয়োজনীয় অ্যালুমিনিয়াম বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা হয়। তাই বর্জ্য অ্যালুমিনিয়াম রিসাইকেল কারখানা প্রতিষ্ঠা করলে এটি আর্থ - সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখবে। এতে অনেক শ্রমিক ও শিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
উচ্চ তড়িৎ পরিবাহিতা ও রাসায়নিকভাবে কম সক্রিয় হওয়ায় ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক শিল্পে প্রচুর পরিমাণে কপার ব্যবহৃত হয়। তাই কপার স্তকপ ও বর্জ্য কপার সামগ্রী একেবারে কম নয়। বর্তমানে বাংলাদেশসহ প্রত্যেক দেশে অসংখ্য মোবাইল সেট ও কম্পিউটার ব্যবহৃত হলেও সেগুলো অকার্যকর হতে কয়েক বছর সময় নেবে। অন্যদিকে মোবাইল সেটে ও কম্পিউটারে ব্যবহৃত কপার সাধারণ লোকে পৃথক করে নিতে পারবে না। তাই পুরানো মোবাইল সেটের দোকানে ভবিষ্যতে নষ্ট মোবাইল থেকে কপার সংগ্রহ করা হবে। ঐ বর্জ্যা কপার রিসাইকেল করা সম্ভব বর্জ্য কপার রিসাইকেল করতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তি প্রয়োজন এবং অর্থ ব্যয় হয়; কপার পাইরাইটস আকরিক থেকে ঐ পরিমাণ কপার উৎপাদন খরচ অনেক গুণ বেশি হয়। এছাড়া আকরিকের তাপজারণ থেকে সৃষ্ট ফ্লু - গ্যাস ৯০; গ্যাসে থাকায় পরিবেশের অধিকতর দূষণ ঘটে।
কপার রিসাইকেলের গুরুত্ব
এছাড়া আপনারা নিশ্চয় জানেন যে পৃথিবীতে কপার আকরিকের মজুদ সীমিত এবং তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করা হলে শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। এজন্য কপার রিসাইকেলের গুরুত্ব রয়েছে।