MPO মানে কি?
MPO এর full form কি?
MPO এর পূর্নাঙ্গ রূপ হচ্ছে Monthly Pay order। সংক্ষেপে MPO বলা হয়ে থাকে।
MPO ভুক্ত করনের মাধ্যমে বেসরকারি পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক বেতন কার্যকর করা হয়। মান্থলি পেমেন্ট ওর্ডারে (এমপিও) অন্তর্ভুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বেতন- ভাতাদির সুবিধা পান না।
MPO ভুক্তের সুবিধা
এমপিও ভুক্ত হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের পুরোটাই সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত হবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অন্যান্য সরকারী কর্মচারীদের মত মহার্ঘ্যভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসবভাতা পাবেন।
যে সকল প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হবে সেসকল প্রতিষ্ঠানের কমকর্তা ও কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমিক ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার বেতন কাঠামোর আওতায় আসবে। কেবল মাত্র এমপিও ভুক্ত হবার পরেই চাকরির স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যমান এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে রাষ্ট্রের ব্যয় হয় ৬০০ কোটির কিছু বেশি টাকা। নতুন স্কেলে বেতন দেয়া হলে প্রতি মাসে আরও প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লাগবে।
MPO ভুক্ত হলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
নতুন স্কেল পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে এমপিওভুক্ত কলেজের একজন প্রভাষকের মূল বেতন হবে ২২ হাজার টাকা (নবম গ্রেড)।
বর্তমানে তাঁরা ১১ হাজার টাকা পাচ্ছেন। সহকারী অধ্যাপকরা পাবেন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা (ষষ্ঠ গ্রেড)। এখন পাচ্ছেন ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর অধ্যক্ষদের হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখন পাচ্ছেন ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
আর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের মূল বেতন হবে দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা। এখন পাচ্ছেন ৮ হাজার টাকা। জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ২২ হাজার টাকা (নবম গ্রেড)। এখন পান ১১ হাজার টাকা।