G2C, C2B, G2E, G2G meaning

১. G2C: G2C এর ফুল ফর্ম হলো Government to Citizen অর্থাৎ সরকার থেকে নাগরিক। ই-গভর্নেন্স G2C ক্ষেত্রে সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে কার্যকরী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠে। G2C পদ্ধতিতে সরকারি কর্মকাণ্ডে জনগণের ব্যাপক সম্পৃক্ততার সুযোগ তৈরি হয়। যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণ সরকারের পক্ষ থেকে সকল তথ্য লাভ করে।

২. C2B: C2B এর ফুল ফর্ম হলো Government to Businessmen অর্থাৎ সরকার থেকে ব্যবসায়ী। G2B পরিষেবায় ই গভর্নেন্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সরকারের থেকে তথ্য পেয়ে থাকে। G2B প্রক্রিয়ায় e-Governance এর উদ্দেশ্য হলো ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করা, সময় সাশ্রয় করা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য হ্রাস করা অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ কমানো এবং স্বচ্ছ ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি। 

৩. G2E: G2E এর ফুল ফর্ম হলো Government to Employee অর্থাৎ সরকার থেকে কর্মজীবী। ই-গভর্নেন্সে G2E ব্যবস্থায়, সরকারের সাথে প্রজাতন্ত্রে বা রাষ্ট্রে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পর্ক স্থান পায়। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও বিপুল সংখ্যক কর্মচারী কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়। এ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে, শাসনব্যবস্থা - নির্বিঘ্ন করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ই-গভর্নেঙ্গে ICT ব্যবহার এ কাজটিকে অনেক সহজ করে এবং দ্রুততা এ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।

৪. G2G: G2G এর ফুল ফর্ম হলো Government to Government অর্থাৎ সরকার থেকে সরকার। G2G পদ্ধতিতে ই-গভর্নেল এর মাধ্যমে এক রাষ্ট্রের সরকারের সাথে অন্য রাষ্ট্রের সরকারের যোগাযোগ পরিচালিত হয়। শুধু সরকারই নয় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ পরিচালিত হয়। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ ও প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। ই-গভর্নেন্স এর উদ্দেশ্য বা ভূমিকা হলো আইনের শাসন, জনঅংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, গণতান্ত্রিক শাসন প্রভৃতি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url