কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ
কর্মমুখী শিক্ষা কাকে বলে?
কর্ম সংশ্লিষ্ট যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাই কর্মমুখী শিক্ষা। অর্থাৎ হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করে বাস্তব জীবনে যার যথাযথ প্রতিফলন ঘটে তাই কর্মমুখী শিক্ষা।
কিন্তু আমাদের দেশে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠে নি। এক সময় আমাদের দেশে বংশ পরম্পরায় যেসব কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল সেগুলো আজ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এবং তারা পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অথচ সামান্য পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা পেলে এদের অধিকাংশই বিলুপ্ত হতো না। আমাদের দেশে বর্তমানে যে সমস্ত কর্মমুখী শিক্ষার আয়োজন চলছে তা অনেকাংশেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এবং কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে সহায়তা প্রদান করছে।
সরকারি পর্যায়ে তিন ধরনের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে— ডিগ্রি পর্যায়, ডিপ্লোমা পর্যায় ও সার্টিফিকেট পর্যায়। ডিগ্রি পর্যায়ে প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ তৈরি করা হয়, ডিপ্লোমা পর্যায়ে টেকনিশিয়ান তৈরি করা হয়, সার্টিফিকেট পর্যায়ে দক্ষ কারিগর ও কর্মী তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশের কর্মমুখী শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য রয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। এতদ সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে অনেকে কাজ করতে করতে এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে।
এজন্য পুরান ঢাকার গাড়ি মেরামতের দোকানে ময়লা - নোংরা কাপড় পরা মেকানিককে গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ লাগাতে দেখা যায়। এরকম উদাহরণ বহু আছে। এইসব টেকনিশিয়ানদের যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় আনা যায় তাহলে তারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এজন্য দরকার কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন। তবেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব।