খাদ্য নিরাপত্তায় রসায়নের ভূমিকা
খাদ্য নিরাপত্তায় রসায়ন কী?
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অন্যতম প্রধান উপাদান হলো খাদ্য। সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। মানুষ তার সুষম খাদ্যের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের ওপর নির্ভরশীল। তাই খাদ্যকে দুইভাগে ভাগ করা যায়, যথা- উদ্ভিজ ও প্রাণিজ। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রসায়নের ভূমিকা অপরিসীম। খাদ্য নিরাপত্তা (Food Safety) বলতে খাদ্যবস্তুর উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে দিক নির্দেশনা সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত নীতিমালাকে বুঝায়। অর্থাৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্যগ্রহণ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে খাদ্যকে জীবাণু ও দূষণমুক্ত রাখা বা স্বাস্থ্যহানির বিভিন্ন কারণগুলো থেকে মুক্ত রাখার বিষয়ই হলো খাদ্য নিরাপত্তা। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য সুষম, পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাদ্য প্রয়োজন। সুষম খাদ্যে আমিষ, শর্করা, স্নেজাতীয় পদার্থ, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং বিশুদ্ধ পানি, যেগুলো সবই রাসায়নিক পদার্থ। এগুলোর উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণন, সরবরাহ সবকিছুতেই রসায়ন মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
তাই সঠিক এবং পর্যাপ্ত রাসায়নিক ধারণা না থাকলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা প্রায় সব খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। উদ্ভিদ মাটি, পানি এবং বায়ুর উপাদান ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করে থাকে। এদের যেকোনো একটি দূষণের শিকার হলে উৎপাদিত খাদ্য দূষিত হতে পারে এবং উৎপাদন হ্রাস পাবে। তাছাড়া উৎপাদিত খাদ্য যথানিয়মে সংরক্ষণ না করলেও খাদ্য নষ্ট হতে পারে। জমিতে অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জমির উর্বরতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এসব কারণে ক্রমান্বয়ে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি মানুষের জন্য পুষ্টিকর, নিরাপদ, সহজলভ্য এবং পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে, যা খেয়ে প্রতিটি মানুষ সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে পারে।
১. খাদ্যের পর্যাপ্ততা (Food Availability)
২. খাদ্যের সহজলভ্যতা (Food Accessl
৩. খাদ্যের সঠিক ব্যবহার (Food Utilization)
২. খাদ্যের সহজলভ্যতা (Food Accessl
৩. খাদ্যের সঠিক ব্যবহার (Food Utilization)
উল্লিখিত তিনটি বিষয়ের সাথেই রসায়ন নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট।
১. খাদ্যের পর্যাপ্ততা (Food Availability):
উদ্ভিদ আমাদের সকল খাবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরবরাহ করে থাকে। উদ্ভিদ এর বৃদ্ধি ও পুষ্টির সব মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করে থাকে। উদ্ভিদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ। যেমন উর্বর মাটি, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, আলো, ৰাতাস এবং রোগ বালাই হতে রক্ষার জন্য দরকার পরিমিত উপযুক্ত কীটনাশক। উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO2, এবং H2O ব্যবহার করে তার কোষস্থ ক্লোরোফিলের সাহায্যে শর্করা উৎপন্ন করে।
উদ্ভিদ আমাদের সকল খাবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরবরাহ করে থাকে। উদ্ভিদ এর বৃদ্ধি ও পুষ্টির সব মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করে থাকে। উদ্ভিদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ। যেমন উর্বর মাটি, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, আলো, ৰাতাস এবং রোগ বালাই হতে রক্ষার জন্য দরকার পরিমিত উপযুক্ত কীটনাশক। উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO2, এবং H2O ব্যবহার করে তার কোষস্থ ক্লোরোফিলের সাহায্যে শর্করা উৎপন্ন করে।
6CO2 + 6H2O=গ্লুকোজ+6O2
উদ্ভিদ এর পুষ্টি সাধন, ফুল - ফল ধারণ ও পরিপক্কতার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান মাটি হতে মূলের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে পানি সহায়তা করে। মাটির গুণাগুণ ঠিক না থাকলে পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। মাটির গুণাগুণ বিশ্লেষণ এবং এর জন্য উপযুক্ত সার উৎপাদনে রসায়ন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। কোনো কারণে মাটি দূষিত হলে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা সংশোধন করে উর্বরতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেমন মাটির pH কমে গেলে সেখানে উপকারি অণুজীব বাঁচতে পারে না এবং ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। জমিতে বার বার ফসল উৎপাদন করলে উদ্ভিদ অধিক হারে বিভিন্ন ক্ষারকীয় উপাদান Mg, Ca প্রভৃতি গ্রহণ করায় এবং শিল্প দূষণ ও এসিড বৃষ্টির কারণে মাটির pH কমে যায়। এক্ষেত্রে মাটির pH নির্ণয় করে উপযুক্ত রাসায়নিক সার যেমন- CaO বা CaCO3, ব্যবহার করে মাটির pH বৃদ্ধি করে মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা যায়।
আবার কোনো কারণে মাটি ক্ষারকীয় হলে বিভিন্ন রাসায়নিক সার (যেমন ইউরিয়া, TSP, NaNO3, NH4NO3, NO2, DAP, SP প্রভৃতি) ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা উদ্ধার করা হয়। রসায়ন ছাড়াও এ কাজগুলো কীটনাশক, জীবাণুনাশকের আবিষ্কার সবুজ বিপ্লবে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
উদ্ভিদ এর পুষ্টি সাধন, ফুল - ফল ধারণ ও পরিপক্কতার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান মাটি হতে মূলের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে পানি সহায়তা করে। মাটির গুণাগুণ ঠিক না থাকলে পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। মাটির গুণাগুণ বিশ্লেষণ এবং এর জন্য উপযুক্ত সার উৎপাদনে রসায়ন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। কোনো কারণে মাটি দূষিত হলে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা সংশোধন করে উর্বরতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেমন মাটির pH কমে গেলে সেখানে উপকারি অণুজীব বাঁচতে পারে না এবং ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। জমিতে বার বার ফসল উৎপাদন করলে উদ্ভিদ অধিক হারে বিভিন্ন ক্ষারকীয় উপাদান Mg, Ca প্রভৃতি গ্রহণ করায় এবং শিল্প দূষণ ও এসিড বৃষ্টির কারণে মাটির pH কমে যায়। এক্ষেত্রে মাটির pH নির্ণয় করে উপযুক্ত রাসায়নিক সার যেমন- CaO বা CaCO3, ব্যবহার করে মাটির pH বৃদ্ধি করে মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা যায়।
আবার কোনো কারণে মাটি ক্ষারকীয় হলে বিভিন্ন রাসায়নিক সার (যেমন ইউরিয়া, TSP, NaNO3, NH4NO3, NO2, DAP, SP প্রভৃতি) ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা উদ্ধার করা হয়। রসায়ন ছাড়াও এ কাজগুলো কীটনাশক, জীবাণুনাশকের আবিষ্কার সবুজ বিপ্লবে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
2. খাদ্যের সহজলভ্যতা (Food Access):
উৎপাদিত খাদ্য সংরক্ষণ, সরবরাহ, বিপণন এবং মানুষের আয় খাদ্যের সহজলভ্যতার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি দেশের সব জায়গায় সব রকম খাদ্য উৎপন্ন হয় না। বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন শস্য, ফল, শাকসবজি প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎস হলো গ্রামীণ জনপদ। এদেরকে যথানিয়মে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করতে পারলে খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত হয়। যেমন- বর্ষাকালে প্রচুর মাছ এবং বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল ও সবজি উৎপন্ন হয়। কিন্তু এগুলো সারাবছর সবার প্রয়োজন। এগুলো পচনশীল হলেও খাদ্য সংরক্ষক দিয়ে যথানিয়মে এদের সংরক্ষণ করা যায়। এদের সংরক্ষণের বিষয়টি নির্ভর করে রাসায়নিক ও প্রযুক্তি জ্ঞানের উপর কোন খাদ্যে কোন ধরনের খাদ্য সংরক্ষক, কতটুকু দিতে হবে তা রাসায়নিক বিশ্লেষণ ছাড়া নির্ধারণ সম্ভব নয়।
উৎপাদিত খাদ্য সংরক্ষণ, সরবরাহ, বিপণন এবং মানুষের আয় খাদ্যের সহজলভ্যতার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি দেশের সব জায়গায় সব রকম খাদ্য উৎপন্ন হয় না। বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন শস্য, ফল, শাকসবজি প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎস হলো গ্রামীণ জনপদ। এদেরকে যথানিয়মে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করতে পারলে খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত হয়। যেমন- বর্ষাকালে প্রচুর মাছ এবং বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল ও সবজি উৎপন্ন হয়। কিন্তু এগুলো সারাবছর সবার প্রয়োজন। এগুলো পচনশীল হলেও খাদ্য সংরক্ষক দিয়ে যথানিয়মে এদের সংরক্ষণ করা যায়। এদের সংরক্ষণের বিষয়টি নির্ভর করে রাসায়নিক ও প্রযুক্তি জ্ঞানের উপর কোন খাদ্যে কোন ধরনের খাদ্য সংরক্ষক, কতটুকু দিতে হবে তা রাসায়নিক বিশ্লেষণ ছাড়া নির্ধারণ সম্ভব নয়।
তাই যেকোনো খাদ্যকে যথানিয়মে সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যকে সহজলভ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, দুধ একটি সুষম খাদ্য কিন্তু দ্রুত পচনশীল। এই দুধকে যথানিয়মে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে সকল মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব। তাছাড়া দুধ থেকে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী যেমন- গুঁড়ো দুধ, মিষ্টি, পনির, দধি, মাখন, ঘি প্রভৃতি উৎপন্ন করে দুধের পুষ্টিকে মানুষের কাছে পৌঁছানোও সম্ভব। মাছ, মাংস, শাক - সবজি ও ফল সংরক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত ফরমালিন (মিথান্যালের 30-40 % জলীয় দ্রবণ), বিভিন্ন ফল পাকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বাইড এবং কপার সালফেট যা অগ্রহণযোগ্য। রাসায়নিক জ্ঞান না থাকায় আজকে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। ভেজালযুক্ত বিভিন্ন বিষাক্ত খাদ্য, ফলমূল খেয়ে মানুষ আজকাল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই খাদ্য সংরক্ষণে দক্ষ রসায়নবিদ গড়ে তুলতে হবে এবং সেই সাথে জন সচেতনতা ও আইন প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
৩. খাদ্যের সঠিক ব্যবহার (Food Utilization): খাদ্য নিরাপত্তা তখনই পূর্ণতা পাবে যখন খাদ্যের পর্যাপ্ততা ও সহজলভ্যতার সাথে খাদ্যের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
খাদ্যের সঠিক ব্যবহার যেসব বিষয়ের উপর নির্ভরশীল তা হলো:
i . সঠিক নিয়মে খাবার তৈরি বা রান্না করা
ii. খাদ্যকে শক্তি ও পুষ্টিতে রূপান্তরের শারীরিক সক্ষমতা
iii. বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা
iv. পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
নিচে বিষয় গুলো বুঝানো হল:
i. সঠিক নিয়মে রান্না করা খাবার রান্না করার বিজ্ঞানসম্মত ধারণা থাকতে হবে। খাবার রান্না করার সময় তাপমাত্রা, মসলা, খাদ্য সংরক্ষক প্রভৃতি যথানিয়মে প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় খাবার থেকে পুষ্টি কমে যাবে।
iii. বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা
iv. পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
নিচে বিষয় গুলো বুঝানো হল:
i. সঠিক নিয়মে রান্না করা খাবার রান্না করার বিজ্ঞানসম্মত ধারণা থাকতে হবে। খাবার রান্না করার সময় তাপমাত্রা, মসলা, খাদ্য সংরক্ষক প্রভৃতি যথানিয়মে প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় খাবার থেকে পুষ্টি কমে যাবে।
ii. বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ; পানির অপর নাম জীবন। আমরা বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমেও পানি গ্রহণ করে থাকি। খাদ্যদ্রব্য হজমের জন্য বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন। পানি বিশুদ্ধ না হলে পানির মাধ্যমে বিভিন্ন জীবাণু (কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়) আমাদের দেহে প্রবেশ করে। পানির গুণগত মান বিশ্লেষণ ও বিশোধনে রসায়ন যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে ।
iii. খাদ্যকে শক্তি ও পুষ্টিতে রূপান্তরের শারীরিক যোগ্যতা: একজন সুস্থ মানুষ গৃহিত খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি পেতে পারে। শারীরিকভাবে কোনো মানুষ অসুস্থ হলে সবার আগে তাকে সুস্থ করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়, প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহ করতে রসায়নের ভূমিকা রয়েছে।
iv. পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ; একজন মানুষের জন্য কী ধরনের খাবার কতটুকু প্রয়োজন তা পুষ্টিবিজ্ঞান নির্ধারণ করে।
iv. পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ; একজন মানুষের জন্য কী ধরনের খাবার কতটুকু প্রয়োজন তা পুষ্টিবিজ্ঞান নির্ধারণ করে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও রসায়ন খাদ্য নিরাপত্তায় রসায়নের গুরুত্ব
খাদ্যের নিরাপদ এবং গুণগত মান রক্ষায় ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যবস্তু ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে রসায়নের এক কথায় তার দায়িত্ব (Shelf life) বাড়ানো বা খাদ্যবস্তুতে অণুজীবঘটিত সংক্রমণ প্রতিরোধে, রাসায়নিক প্রয়োগ দুটোই অপরিহার্য।
কিছু উদাহরণের মাধ্যমে নিম্নে তুলে ধরা হলো
কিছু উদাহরণের মাধ্যমে নিম্নে তুলে ধরা হলো
১. পচনরোধে বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ ঠেকাতে পচনশীল খাদ্যবস্তু যেমন- মাছ, মাংস, বাঁধাকপি,
২. হমেটো
৩. খাদ্যবস্তুর লিপিড এর অক্সিডেশন বা জারণ রোধ করার জন্য যেমন অ্যামোনিয়া, হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো কার্বন, পেন্টাফ্লোরো ইখেন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। BHA (Buty lated Hydroxyanisole), BHT (Buty lated Hyuroxytoluene), সালফাইট বা সালফার ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়, যা খাদ্যবস্তুর মজুদের সময় বৃদ্ধি করে।
৪. অ্যান্টিমাইক্রোবায়োট হিসেবে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- NaNO3, NaNO2, ইত্যাদি খাদ্যবস্তুর অতিরিক্ত অক্সিজেনকে শোষণ করে নিয়ে অণুজীবের (ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, মোভ ইত্যাদি ) আক্রমণ রোধ করে।
৫. বীজ সংরক্ষণ, শস্য উৎপাদন, পোকামাকড় এর আক্রমণ হতে ফসল রক্ষা,
৬. মাটির উর্বরতা নিশ্চিতকরণে উপযুক্ত ও নিরাপদ কীটনাশক, সার প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয় । জিলাটিন , অ্যাগার, মেইজ ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্যাদি তরল খাদ্যবস্তুকে কঠিন বা জেলিতে পরিণত করে তার স্বাস্থ্যসম্মত দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ায়।
৫. বীজ সংরক্ষণ, শস্য উৎপাদন, পোকামাকড় এর আক্রমণ হতে ফসল রক্ষা,
৬. মাটির উর্বরতা নিশ্চিতকরণে উপযুক্ত ও নিরাপদ কীটনাশক, সার প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয় । জিলাটিন , অ্যাগার, মেইজ ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্যাদি তরল খাদ্যবস্তুকে কঠিন বা জেলিতে পরিণত করে তার স্বাস্থ্যসম্মত দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ায়।
৮. রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাছাইকৃত কিছু অণুজীবও খাদ্য বস্তুতে ব্যবহৃত হয় যা অন্যান্য ক্ষতিকারক অণুজীবের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। যেমন- প্রোবায়োটিকস।
৯. খাদ্যবস্তু উৎপাদন ও সংরক্ষণে pH এর ভূমিকা কী হতে পারে এবং তার মান কত বজায় রাখলে খাদ্যবস্তুজনিত বিষক্রিয়া রোধ সম্ভব সে সম্পর্কে প্রক্রিয়াজাতকরণ রসায়ন আমাদের ধারণা দেয়। রাসায়নিক বিশ্লেষণে প্রাপ্ত কিছু বায়োঅণু যেমন— কাইটোসান, রেখে খাদ্যে ব্যবহৃত অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের বিষক্রিয়া প্রতিহত করে।
১০. খাদ্যবস্তুর স্বাদ, গন্ধ ইত্যাদি অনেক দিন অক্ষুণ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
১১. রাসায়নিক বিশ্লেষণ যেমন খাদ্যবস্তুর ফুড রিওলোজি / ফ্লুইডিটি pH মন, বর্ণালিবীক্ষণ পরীক্ষা ইত্যাদি খাদ্যবস্তুর গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে এবং খাদ্যবস্তুজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। রাসায়নিকভাবে জিনগত পরিবর্তিত অণুজীব প্যাকেটজাত পণ্যের গুণাগুণ বজায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
১০. খাদ্যবস্তুর স্বাদ, গন্ধ ইত্যাদি অনেক দিন অক্ষুণ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
১১. রাসায়নিক বিশ্লেষণ যেমন খাদ্যবস্তুর ফুড রিওলোজি / ফ্লুইডিটি pH মন, বর্ণালিবীক্ষণ পরীক্ষা ইত্যাদি খাদ্যবস্তুর গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে এবং খাদ্যবস্তুজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। রাসায়নিকভাবে জিনগত পরিবর্তিত অণুজীব প্যাকেটজাত পণ্যের গুণাগুণ বজায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
১২. ফুড গ্রেড পলিমার উৎপাদনে রসায়ন, খাদ্যবস্তুর নিরাপত্তা ও গুণগত মান রক্ষায় অপরিহার্য্ জেনে রাখো লিপাটিন হলো পেপটাইড ও প্রোটিনের মিশ্রণ যা মূলত কোলাজেন জাতীয় পদার্থের আংশিক হাইড্রোলাইসিস এর মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। যা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যবস্তুতে (বিশেষ করে প্যাকেটজাত) ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, টক্সিন অনুজীৰ দ্বারা সৃষ্ট, তার প্রতিরোধ ও বিশ্লেষণ অপরিহার্য এবং এতে রসায়ন এর ধারণা বা প্রয়োগ অত্যাবশ্যকীয়।