পলিথিন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

পলিথিন ব্যবহারের সুবিধা


পলিথিন হচ্ছে ইথাইনের একটি পলিমার। পলিথিন কে পলিমারকরণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং এক হাজার থেকে (১০০০-১২০০) বারোশো বায়ুমন্ডলীয় চাপে উত্তপ্ত করলে পলিথিন পাওয়া যায়।

১. পলিথিনের শক্তিমাত্রা, স্বচ্ছতা, নমনীয়তা এবং স্থায়ীত্বের জন্য এটি প্যাকেজিং ফিল্ম এবং বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিস পণ্য, ফিল্ম, শীট, বোতল, বিভিন্ন ধরনের পাত্র, পাইপ এবং টিউবসহ বিভিন্ন ক্যাবলের ইনস্যুলেশনের কাছে। পলিথিন ব্যবহৃত হয়।

২. পলিথিন ব্যাগ পণ্য পরিবহনে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্লাস্টিক। কেননা, অন্যান্য ব্যাগ তৈরির খরচের চেয়ে পলিখিলে উৎপাদন খরচ অনেক কম।

৩. ক্লোরোসালফোনেটেড পলিথিন রাবার, ডাই - ইন রাবারের চেয়ে অধিকতর স্থায়ী। এটি ওজোন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

৪ পলিথিনের সাথে প্রাকৃতিক পলিমার যুক্ত করে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পলিমার কম্পোজিট তৈরী করা যায়।

৫. পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন- রাসায়নিক অসক্রিয়তা, জীব অভাজন যোগ্যতা, জলীয় বাষ্পের নিম্ন ভেদ্যতা, নিম্নতাপমাত্রায় দৃঢ়তা, বৈদ্যুতিক অপরিবাহিতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।

পলিথিন ব্যবহারের অসুবিধা


১. পলিথিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, এটি পরিবেশে অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়। পলিথিন অণুজীব দ্বারা জীব ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয় না।

২. ব্যবহৃত পলিথিন পুনঃচক্রায়ন করা হয় না বিধায় এটি ল্যান্ড ফিলে একটি প্রকট সমস্যা হিসেবে পরিগণিত। অন্যান্য বস্তুর জীব - ভাঙ্গনেও পলিথিন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

৩.  শহরাঞ্চলের পয়ঃনিষ্কাশন প্রণালীতে জমা হয়ে পলিথিন নগরের তরল বর্জ্য অপসারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে, সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

৪.  পলিথিনকে পুড়িয়েও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আনা যায় না, কেননা, দহনে বিষাক্ত ধোয়ার সৃষ্টি হয়।

৫.  পলিথিন নদীর তলদেশে ক্রমশ জমা হয়ে নদীর নাব্যতা বিনষ্ট করে।

৬. কৃষি জমিতে পলিথিন জমা হয়ে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে উদ্ভিদের পুষ্টি সংগ্রহ বাধাগ্রস্থ হয়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url