S. T. Coleridge Biography in Bangla

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ একজন জনপ্রিয় ইংরেজ কবি। তনি একজন দার্শনিক ও সমালোচকও ছিলেন। তিনি ১৭৭২ সালের ২১ আক্টোবর ডেভনশায়ারের অটার সেন্ট মেরিতে জন্মে ছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন অটার সেন্ট মেরির একজন পুরোহিত। তাঁর বাবা ১৭৮২ সালে মারা যান। তারপর তাকে একজন এতিম ছাত্র হিসেবে খ্রিস্ট হসপিটালে পাঠানো হয়। 

তিনি সেখানে প্রায় ৮ বছর ছিলেন। সেখানে তিনি খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী, অসাধারণ এবং অকালপক্ব স্কুল ছাত্র হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর অবিশ্বাস্য রকমের স্মৃতিশক্তি এবং উচ্চ আকাঙ্ক্ষা তাকে সবধরনের জ্ঞানের দিকে ধাবিত করতো এবং একজন বিখ্যাত কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্যামব্রিজের জিসাস কলেজে ১৭৯১ সালে ভর্তি হয়েছিলেন।

একদা তিনি লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং ১৫তম লাইট ড্রাগনস হিসেব তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন ১৭৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। সাইলাস জমকিন কোনারবেক নাম ধারণ করেন। সেখানে তিনি ঘোড়া দে․ড়ানো শিখতে পারেন নি। কিছু ল্যাটিন লাইন শিখার মধ্য দিয়ে কোলরিজ তাঁর পরিচিতির প্রসার ঘটান। তাকে মুক্ত করে তাঁর ভাই সেখান থেকে পুনরায় ক্যামব্রিজে নিয়ে আসেন।

কিন্তু তিনি কোনো ডিগ্রি অর্জন না করেই ১৭৯৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন। যদিও তাঁর শরীর সাধারণত অসুস্থই থাকতো কিন্তু ১৭৯৫ সাল থেকে ১৮০২ সাল পর্যন্ত তাঁর কাব্যপ্রতিভা এবং বুদ্ধিবৃত্তির দ্রুত উন্মেষ ঘটেছিল। তাঁর প্রথম কাজটি ছিল “দি ফল অফ ফোবসপিয়েরি” নামে একটি নাটক যা ১৭৯৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

১৭৯৫ সালে কোলরিজ সারাহ ফ্রিকারকে বিয়ে করেন। তাপর তাকে জীবিকা অর্জনের জন্যই যুদ্ধ করতে হয়। তিনি বিভিন্ন বিষয় যেমন সাহিত্যে এবং রাজনীতির সম্পর্কে বক্তব্য দিতেন এবং এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতেন। তার প্রথম ভলিউম “পয়েমস অন ভেরিয়াস সাবজেক্টস” ১৭৯৬ সালে প্রকাশিত হয়। এখন তিনি উইলয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের সান্নিধ্যে আসেন। তাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল ছিল।

১৭৯৮ সালে ছোট আকারে তারা যৌথভাবে প্রকাশ করেন মিরিকাল ব্যালাডস। এই সময়ের মধ্যে কোলরিজ তার বিখ্যাত কবিতাগুলো যেমন নাইটিনগেল, “ক্রিস্টাবেল লাভ”-এর প্রথম অংশ, দি রাইম অফ এনসিয়েন্ট মেরিনার, ফ্রস্ট এই মিডনাইট, কুবলাই খান ইত্যাদি লেখেন। 

তারপরও তিনি অনেক কবিতা লিখেছিলেন। তারপরে তিনি দার্শনিক এবং সমালোচক হয়েছিলেন। যাহোক, তারপরই তিনি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলেন। শীঘ্রই তার শরীর ভেঙে পড়ে এবং অনেক কষ্ট ভোগ করেন। ১৯৩৪ সালের ২৬ আগস্ট তিনি মারা যান।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url